বান্দরবান, অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
বান্দরবান ...।।
বান্দারবান রাঙামাটি খাগড়াছড়ির মতই বাংলাদেশের একটি পার্বত্য জেলা। এ জেলায়ও দেখা মেলে অসংখ্য উপজাতির। এখানে বাস করে মারমা, চাকমা সহ অনেক ধরনের উপজাতি। তবে এ জেলায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাড় তাজিংডন। যার উচ্চতা ৪,৩০০ ফুট বা ১৩১০ মিটার। তাজিংডন বান্দারবান জেলার রুমা উপজেলায় পাংসা ইউনিয়নে অবস্থিত। সম্পূর্ণ বান্দারবান জেলার বুক জুড়ে রয়েছে পাহাড় আর পাহাড়। উচু উচু পাহাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় যেন মেঘ পাহাড়ের সাথে খেলা করছে।যেভাবে আসবেন বান্দারবান
ঢাকা থেকে বান্দারবানের সড়কপথের দুরত্ত ৩৯৩ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বান্দারবান আপনি সরাসরি বাসে আসতে পারেন। ঢাকা টু বান্দারবান এর আছে বিভিন্ন ক্লাস এর বাস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বাস হল যেমনঃ হানিফ, সোহাগ, শ্যামলী, টি আর ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, বাগদাদ এক্সপ্রেস ইত্যাদি। আপনি আপনার পছন্দমত এসি, নন এসি বাস নির্বাচন করে শুরু করতে পারেন আপনার যাত্রা।আপনি চাইলে রেল এর ভ্রমণকেও যোগ করতে পারেন আপনার বান্দারবান ভ্রমণে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ট্রেনে আসতে হবে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কারন ঢাকা টু বান্দারবান সরাসরি কোন ট্রেন যোগাযোগ নেই। চট্টগ্রাম এসে আপনি বাসে চলে আসতে পারেন বান্দারবান। চট্টগ্রামেও আছে বান্দারবান আসার পর্যাপ্ত বাস। আবার আপনি চাইলে আপনার সময় বাচিয়ে টাকার খরচ বাড়িয়ে একটু বেশি আরাম আয়েশ নিয়ে আকাশপথেও আসতে পারেন বান্দারবান। তবে আপনি সরাসরি তা পারবেন কারন বান্দারবানে নেই কোন বিমানবন্দর। এক্ষেত্রে আপনাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমানে এসে তারপর সড়কপথে যেতে হবে বান্দারবান। চট্রগ্রামে আছে বান্দারবানে যাওয়ার অনেক বাস।বান্দারবানের দর্শনীয় স্থানসমূহ...।।
বান্দারবানের মধ্যে যে সকল স্পট আপনি ঘুরে আসতে পারেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃচিম্বুক পাহাড়ঃ
চিম্বুক পাহাড়ে যেতে হলে আপনাকে জীপ গাড়ি, চান্দের গাড়ি, অথবা নিজস্ব গাড়িতে করে যেতে হবে। বান্দারবান জেলা সদর থেকে আপনি গাড়ি পাবেন।
নীলগিরিঃ
নীলগিরিতে যেতে হলেও আপনাকে জীপ, চান্দের গাড়ি অথবা নিজস্ব গাড়ি ব্যাবহার করতে হবে। বান্দারবান জেলা সদর থেকে নীলগিরির দুরত্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার।
নিলাচলঃ
বান্দারবান জেলা সদর থেকে সি, এন, জি, চান্দের গাড়ি অথবা জীপ দিয়েও যেতে পারেন। জেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে টাইগার পাড়ায় নীলাচল অবস্থিত।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সঃ
শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে জেলা পরিষদের বিপরিতে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স অবস্থিত। যেখানে দেখতে পাবেন ঝুলন্ত ব্রিজ সহ অনেক কিছু। বগালেকঃ বগালেক রুমা উপজেলায় অবস্থিত। শুষ্ক মৌসুমে শহর থেকে জীপে অথবা চান্দের গাড়িতে যেতে পারেন।
শৈল প্রপাতঃ
বান্দারবান থেকে থানচি সড়কে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে মিলানছরিতে শৈল প্রপাত অবস্থিত। যদিও সবসময় পানির প্রবাহ থাকে না এই প্রপাতে। তবে বর্ষার মৌসুমে পানির প্রবাহে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে এই শৈল প্রপাত।
প্রান্তিক লেকঃ
প্রান্তিক লেক বান্দারবান-কেরানি হাট রোডের হলুদিয়া গ্রামে অবস্থিত। বান্দারবান শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। প্রান্তিক লেক বান্দারবানের আরেকটি সুন্দর লেক। এই লেকের চারপাশে আছে সবুজ গাছ-গাছালি। বোট ভাড়া করে ঘুরতে পারেন এই লেকে। এছাড়া পারমিশন নিয়ে মাছ ও ধরতে পারেন লেক থেকে। কেওক্রাডংঃ
তাজিংডংঃ
তাজিংডং বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। তাজিংডং উপজাতিয় ভাষা। "তাজিং" অর্থ বিরাট এবং "ডং" অর্থ পাহাড় তাজিংডং= বিরাট পাহাড়। সমুদ্র লেভেল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৪,৩০০ ফুট। এটি রুমা উপজেলার পাংসা ইউনিয়নে অবস্থিত। লাইমি হিল রিসোর্ট থেকেও তাজিংডং এর দুরত্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আপনি চাইলে এই পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে পারেন। সেখত্রে আপনাকে যথেষ্ট পরিস্রম করতে হবে। বাচ্চা এবং মহিলা সাথে না নেয়াই ভাল। অবশ্যই সাথে রাখবেন শুকনো খাবার, পানি ও ওরস্যালাইন।
স্বর্ণমন্দিরঃ
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দির। পাহাড়ের উপর বালাঘাটায় এর অবস্থান। যার নকশা করেছেন আরাকানিজ আর্কিটেকচার।
নীলগিরি হেলিপ্যাড। |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন